বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালী ও বাউফলে আগরতলায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার অফিসে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ কলাপাড়ায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ডাকাত দলের ৬ সদস্য আটক মৎস্যজীবী দলের দোয়া মুনাজাত বাউফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ বাউফলে আগষ্টের গনঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় তারেক রহমান’র মুক্তির খবরে আনন্দ মিছিল কলাপাড়ায় উড়ন্ত মৃদু বিষধর বিলুপ্তপ্রায় লাউডগা সাপ উদ্ধার কলাপাড়ায় যাত্রীবাহি ৩ টি বাস থেকে ২৫ মন জাটকা ইলিশ জব্দ কলাপাড়ায় শের-ই বাংলা নৌ ঘাঁটিতে নৌবাহিনীর নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ায় দোয়া মাহফিল শ্রমিকদলের আলোচনা সভা এবং দোয়া মুনাজাত নগরীতে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী মিলা বাউফলে একই রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের কর্মসূচি
রূপগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের ৩ মাস পর মরদেহ উদ্ধার

রূপগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের ৩ মাস পর মরদেহ উদ্ধার

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩ মাস পর হেকমত আলী (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) দুপুরে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশে উপজেলার কোশাব এলাকার একটি মাছের খামারের বন্ধ ড্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন।

নিহত হেকমত আলী উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে। তিনি মটরপার্সের ব্যবসা করতেন। তার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, হেকমত আলীর ভুলতা নুরম্যানশন মার্কেটে হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলো রফিকুল ইসলাম সবুজ। সবুজ কেরাব মোল্লা বাড়ি এলাকার ইয়াকুব মোল্লার ছেলে। প্রায় সময়ই কর্মচারী সবুজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা দাবি করতো। এ নিয়ে সবুজের সঙ্গে হেকমত আলীর দ্বন্দ্ব ছিলো।

গত ৪ এপ্রিল সকালে সবুজ নিজের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাওয়ার কথা বলে হেকমত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেনি তিনি। এরপর গত ১৪ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম সবুজ, তার ভাই মাহাফুজুর রহমান, মামুন মিয়া ও বাবা ইয়াকুব মোল্লাকে আসামি করে হেকমত আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। পরে রফিকুল ইসলাম সবুজকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি উদঘাটন করে।

নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের এসপি এ আর এম আলিফ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রফিকুল ইসলাম সবুজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে এবং এ হত্যাকাণ্ড একাই ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডটি একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে পুলিশ ধারণা করছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। এ জন্য তদন্তের মাধ্যমে অপর আসামিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

সবুজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এসপি আলিফ আরও জানান, হেকমত আলীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে একটি ড্রামে ঢুকিয়ে ড্রামের মুখটি সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়। পরে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়া হয়। নিখোঁজের প্রায় তিন মাস পর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD